১৯৭১ সালের ১১ই জুলাই মুক্তিবাহিনী নামে একটি বাহিনী গঠন করা হয়। এই বাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী। উপ-প্রধান সেনাপতি ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
মুক্তিবাহিনীকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে ভাগ করা হয়েছিল :
• মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে 'কে' ফোর্স
• মেজর কে এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বে 'এস' ফোর্স
• মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে 'জেড ফোর্স
আবার যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার জন্য সারাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। নিচে সেগুলো দেখানো হলো :
সেক্টর ১:- চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ।
সেক্টর ২:- কুমিল্লা ও ফরিদপুর জেলা এবং ঢাকা ও নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ।
সেক্টর ৩:- মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ এবং কেরানিগঞ্জের অংশ বিশেষ।
সেক্টর ৪:- উত্তরে সিলেট সদর এবং দক্ষিণে হবিগঞ্জ, মধ্যবর্তী সমস্ত অঞ্চল।
সেক্টর ৫:- সিলেট জেলার উত্তরাঞ্চল।
সেক্টর ৬:- রংপুর ও দিনাজপুর জেলা।
সেক্টর ৭:- রাজশাহী, পাবনা , বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ।
সেক্টর ৮:- কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনা জেলা।
সেক্টর ৯:- বরিশাল, পটুয়াখালী এবং খুলনা এবং ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ।
সেক্টর ১০:- কোনো আঞ্চলিক সীমানা ছিল না, নৌবাহিনীর কমান্ডো নিয়ে গঠিত। নৌ অভিযানের প্রয়োজনে যে কোনো সেক্টর এলাকায় গিয়ে অপারেশন শেষে ১০ নং সেক্টরে ফিরে আসতো।
সেক্টর ১১:- টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার অংশবিশেষ।
এছাড়াও স্থানীয় ছোট ছোট যোদ্ধাবাহিনী ছিল। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। তারা গেরিলা ও সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিতেন। ত্রিশ হাজার নিয়মিত যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত এই বাহিনীর নাম মুক্তিফৌজ। এক লক্ষ গেরিলা ও বেসামরিক যোদ্ধার সমন্বয়ে গঠিত মুক্তিবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন এই মুক্তিফৌজ ।
শিক্ষকের সহায়তার আলোচনা কর :
১. মুক্তিবাহিনীকে কেন নিয়মিত বাহিনী ও গেরিলা বাহিনীতে ভাগ করা হয়েছিল?
২. বাংলাদেশকে কেন ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
৩. তোমাদের অঞ্চলটি কোন সেক্টরের অধীনে ছিল।
৪. সেক্টর ১০ এর প্রধান কাজ কী ছিল?
মুক্তিবাহিনী কীভাবে সংগঠিত হয়েছিল, সে সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লেখ।
জেনারেল ওসমানী 'বঙ্গবীর' নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৭২ সালে চাকরি থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর সম্পর্কে তোমরা আর কী কী জানো?
বাক্যটি সম্পূর্ণ কর :
মুক্তিবাহিনী ছিল……………………………………………………………….…….।
Read more